সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দারিদ্র্যকে মাথায় নিয়ে জন্ম গ্রহণ করার কারণে অতি ছোট কাল থেকেই তাকে কর্মমুখী হতে হচ্ছে। এ কারণে তাদেরকে বিদ্যা অর্জন বাদ দিয়ে পরিবারের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় কাজে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হতে হচ্ছে। যার দরুন তারা শিক্ষা বিহীন অদক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হচ্ছে। এসব জনশক্তি শিক্ষার অভাবে পশ্চাৎপদ থেকে যাচ্ছে। নিরক্ষরতার অভিশাপের বোঝা এ সব মানুষ দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরক্ষরতার এ কলংক থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে। কেননা দেশে যে পরিমাণ নিরক্ষর মানুষ রয়েছে তাদেরকে অক্ষর জ্ঞান দেয়া কোন একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়। সকলের সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বস্তিবাসী শিশুদের মাঝে অক্ষর জ্ঞান দান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনূষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর উত্তর শিবির সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদ’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী নাজিব আহসান’র সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিবির নেতা এস কে সিকদার, কুতুবুর রহমান, আবু জোবায়ের, এম এ রশিদ, শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন বিদ্যা অর্জন করা প্রত্যেক নারী পুরুষের জন্য ফরজ। জ্ঞানহীন মানুষকে পশুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতার কারণেই আমাদের সমাজে বেড়ে উঠা শিশুরা অল্প বয়সেই কাজে লেগে যাবার দরুণ জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা স্রষ্টা ও সৃষ্টি জগৎ সম্পর্কে বে-খেয়ালে রয়ে যায় ও সমাজে প্রচলিত নানা কুসংস্কারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। আমাদের প্রিয় নবী (স.) ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে আটক কাফেরদের মধ্য থেকে মুসলমানদের জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করার বিনিময়ে তাদেরকে মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ঘটনা জ্ঞান লাভ করা আমাদের জন্য কতটা অপরিহার্য তা সুস্পষ্ট করে দেয়। তাছাড়া প্রতি বছর বিদেশে রপ্তানি করা শ্রম অদক্ষ জনশক্তি বিবেচিত হবার কারণে তারা আশানুরূপ বেতন ভাতা পায় না। এতে করে তাদের পরিবারের ভাগ্যের চাকা আগের মতই থেকে যাচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সমাজের সকলকে সাধ্য মতো জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা-সাধনা চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে জ্ঞান অর্জন করে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য শিক্ষিত সমাজের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেড় শতাধিক বস্তিবাসী শিশুদের মাঝে বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, চক, ডাস্টার ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে তাদেরকে বাংলা বর্ণমালা পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
পাঠকের মতামত: